জীবনযাপন

বউ এর সাথে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

বউ এর সাথে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ১

বউ আমার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে আছে। আমি বললাম,

ঘটনা কী বউ? এটম বোম হয়ে আছো কেন? ভারত পাকিস্তানের লোকজনও তো একে অপরের দিকে এভাবে তাকায় না! কাহিনী কী?

বউ বললো, সারাদিন তোমার কাজটা কী, শুনি?

আমি নিরীহ গলায় বললাম,

করোনার কারনে অফিস আদালত সব বন্ধ। আমারও কোন কামকাজ নাই। বাসা থেকেও বের হতে পারছি না। আমার কাজ হচ্ছে খাওয়া আর ঘুম, আবার ঘুম আর খাওয়া!!

সারাদিনে তো আমাকে একটু সাহায্য করতে পারো, সংসার তো আমার একার না। তোমার কোন দায়িত্ব নাই?

কে বলছে আমি দায়িত্ব পালন করি না! এই যে তুমি ইউটিউব দেখে দেখে কচু শাকের হালুয়া, শুটকির স্যুপ, মরিচ দিয়ে মিষ্টি, শ্বাশুড়ির পোলায় খায়, সতীনের নাতিন খায় জাতীয় অখাদ্য কুখাদ্য তৈরি কর, এগুলো খেয়ে কে শেষ করে? আমি তো এগুলো মহান দায়িত্ব মনে করেই খাই। আমি না খেলে,,,,,

সারাদিন কোন কাজ কর না, রাতে শোয়ার সময় মশারীটা টানাতে পার না? কাল থেকে আমি আর মশারী টানিয়ে দিবো না, তুমি টানিয়ে নেবে!

আমি একা আলাদা ঘুমাই। বউ বাচ্চাদের নিয়ে অন্য খাটে শোয়।

আমি বললাম, অসম্ভব! আমি মশারী টানাতে পারবো না। প্রয়োজনে আমাকে ঘরের ময়লা হাঁড়ি পাতিল ধুতে বল, ঘরদোর মুছতে বল, তরকারি কেটে দিতে বল, সব করে দিব।

দেখা যাবে। কাল থেকে তোমাকেই মশারী টানাতে হবে। আমি আর পারবো না।

বাসায় বসে আছি বলে সুযোগ নিচ্ছো? অন্য কোনদিন তো বল নাই! কাল থেকে তোমার সব কাপড় চোপড় আমি ধুয়ে দিবো। প্রয়োজনে শহীদ হয়ে যাবো। জেলে যাবো। তবুও মশারী টানাতে পারবো না!

যতোই ধানাইপানাই কর, কাল তোমাকে দিয়ে আমি মশারী টানিয়েই ছাড়বো!

এ কাভি হো নেহি সাকতা!

দেখা যাবে, বলেই বউ মশারী টানিয়ে দিয়ে রাগ করে চলে গেলো।

কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে, পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজটা কী? আমি বলবো, রাতে শোয়ার সময় মশারী টানানো! এটা আমার কাছে অসম্ভব বিরক্তিকর কাজ বলেই মনে হয়। কোনদিন যদি বউয়ের সাথে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, তাহলে আমি নিশ্চিত এই মশারী টানানো নিয়েই হবে!!

কতদিন গেছে, বউ বাসায় নাই, বাপের বাড়ি গেছে, আমি মশারী না টানিয়ে শুয়ে আছি। সারারাত মশারা কানের কাছে ভনভন করছে, কামড় দিয়ে পাছা ফুলিয়ে দিয়েছে, তবু্ও মশারী টানাতে যাইনি। অসহ্য হলে ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে লুঙ্গি গায়ে দিয়ে শুয়ে থেকেছি!!

পরের দিন ঘুম থেকে উঠলাম সকাল দশটায়। রোজার দিন। লকডাউনের কারনে কামকাজও বন্ধ। কিছুক্ষণ টিভি দেখলাম। তারপর ধুত্তেরি ছাই! বলে উঠে বসলাম। বেশিক্ষন টিভি দেখতেও ভালো লাগে না।টিভির একই খবর, শুধু করোনা!

রান্নাঘরে গেলাম। বউ তরকারি কুটছিল। আমি বললাম, কী কর বউ?

বউ বললো, এই তো আমার এক্স বয়ফেন্ডের সাথে একটু গল্পগুজব করছি। আমার হাতে তো অফুরন্ত সময়, টাইমপাস করতে হবে না!

আমি খাতির জমানোর জন্য বললাম, আজ জানি কী বার?

সোমবার।

আচ্ছা, আজকে সোমবার। তারপর দিন কী বার হবে?

বউ চোখ রাঙিয়ে বললো, শুক্রবার!

আচ্ছা, সোমবারের পরের দিন হচ্ছে শুক্রবার। ভালো। আজকে কী তরকারি পাক করবে? ডাল না দুধ?

দুধ কি তরকারি? ঘটনা কী? উল্টাপাল্টা কথা বলছো কেন?

কী জানি বউ! আজাইরা থাকতে থাকতে বোধ হয় মাথা আউলাইয়া গেছে! কি বলতে কি বলি! খাওয়া আর ঘুম ছাড়া তো কোন কাজ নাই। কাহাতক সহ্য হয়! আগে কাজ করতে করতে ভাবতাম, আহা! এক সপ্তাহের জন্য যদি কাজ বাদ দিয়ে বিশ্রাম নিতে পারতাম! এখন ভাবি, দূর শালা! কাজ করতে না পারলে তো মরেই যাবো! কবে যে কাজে ফিরতে পারবো!!

কাজ কর, মন ভালো হয়ে যাবে। আমাকে কতগুলো পেঁয়াজ ছিলে দাও।

আমি উপোত হয়ে পেঁয়াজ ছিলতে বসে গেলাম। কখনো এই কাজ করিনি। চোখ দিয়ে দরদর করে পানি ঝরতে লাগলো। পেঁয়াজের ঝাঁজ অনেক কড়া!

আমার ছোট মেয়ে এসে বললো, আব্বু কাঁদছো কেন? তোমার কী হয়েছে? আম্মু বকেছে?

আমি চোখ মুছতে মুছতেই বললাম, অতি সুখে কাঁদছি রে মা! কেউ কেউ কাজে ক্লান্ত হয়ে কষ্টে কাঁদে। আমি কাজ করতে না পেরে কাঁদছি! অতি সুখ ভালো নয় রে মা!!

বিকেলে বউ ইফতারি তৈরি করছে। আমি কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ ঝিম মেরে বসে রইলাম। সময় কাটছে না। আমি বললাম, কী বানাও বউ?

পেঁয়াজু আর বেগুনি।

পেঁয়াজু আর বেগুনি কী দিয়ে বানায়?

তুমি জান না পেঁয়াজু আর বেগুনি কী দিয়ে বানায়? পেঁয়াজু বানায় বেগুন দিয়ে আর বেগুনি বানায় পেঁয়াজ দিয়ে। এবার হয়েছে?

আহা, রাগ কর কেন, বউ? দশটা না পাঁচটা না, তুমি আমার একমাত্র বউ! তোমার কাছে আমার রান্নাবান্না শিখতে হবে না? আচ্ছা বউ,বেগুন দিয়ে বানায় বেগুনি। তাহলে পেপে দিয়ে সেটা বানালে কী হবে? পেপেনি? কুমড়া দিয়ে বানালে হবে কুমড়ানি?

দেখ, আমার সাথে রসিকতা করার চেষ্টা করবে না, আমি তোমার বউ। গার্লফ্রেন্ড না!

অবশ্যই তোমার সাথে রসিকতা করতে পারি। তুমি আমার বউ। দর্জাল শাশুড়ী না!

আমি চলে আসতে গেলাম, বউ বললো, কোথায় যাও?

আমি উঠতে উঠতে বললাম, একটু বাজারের দিকে যাই, কয়টা ডাব কিনে নিয়ে আসি!

ইফতারে ডাব প্রতিদিন খেতেই হবে? ডাব না খেলে কী হয়?

ডাব না খেলে আবার কী হয়, নারকেল হয়!

কী বললা?

আমি হাসতে হাসতে বললাম, মধু বল্লা!!

রাতে খাওয়া দাওয়া করতে করতে এগারোটা বেজে গেল। আমার মাথায় আছে আজ আমাকে বউ মশারী টানাতে বলবে! পুরুষ মানুষ হয়ে সামান্য বউয়ের কাছে হেরে যাবো? তা কি হয়!

খাওয়ার পর বউকে বললাম, বউ মনে হচ্ছে মাথা ঘুরাচ্ছে। পেট গুলাচ্ছে, বমি-টমি হয়ে যাবে কিনা কে জানে!

বউ বললো, নো ধানাইপানাই! মশারী তোমাকে টানাতেই হবে!!

আরে দূর! তোমার মশারীর কথা ভাবছে কে? মনে হচ্ছে প্রেশার বেড়ে গেছে। ঘাড় ব্যাথা করছে। মাথায় পানি ঢালতে হবে!

বল কি! এক কাজ কর, বিছানায় শুয়ে পড়। আমি মাথায় পানি ঢেলে দিচ্ছি!

আমি টুপ করে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম। বউ বালতি মগ এনে মাথাটা তার কোলে নিয়ে পানি ঢালতে লাগলো। অনেকক্ষন মাথায় পানি ঢেলে গামছা দিয়ে মাথা মুছে সুন্দর করে শুইয়ে দিল। আমি মনে মনে হাসতে লাগলাম। অবশ্য দুই একবার ওহ, আহ শব্দও করতে হলো!!

বউ মশারী টানাতে টানাতে বললো, একটা কড়া করে ঘুম দাও। আমি ঘাড় ম্যাসেজ করে দেই। তাহলে ব্যাথা কমে যাবে।

আমি মনে মনে হাসতে হাসতে বললাম, এই না হলে বউ!

গল্প: মশারী

লিখেছেন: হানিফ ওয়াহিদ

সংগ্রহ: রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প



বউ এর সাথে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ২

আব্বু, আম্মুর পছন্দ মতো বিয়ে করলাম। এখন রুমের বাহিরে দাড়িয়ে আছি। মনে মনে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম যে সবাই যেভাবে বাসর করে আমি সেভাবে করবো না। আমি একটু অন্য রকম ভাবে বাসর করবো। রুমে ডুকলাম বউ আমাকে দেখে বিছানায় গিয়ে বসে পড়লো।

আমি; আমি আপনাকে একটা কথা বলতে চাই আশা করি মন দিয়ে শুনবেন।

বউ ; জি বলুন?

আমি ; আমি আপনাকে স্বামীর অধিকার দিতে পারব না।

বউ মাথা তুলল, চোখের পানি টলমল করছে। এই বুঝি বৃষ্টি নামবে।

বউ ; কেনো? আপনার কোনো পছন্দের মানুষ আছে নাকি। (কাঁদো কাঁদো কন্ঠে)

আমি ; নাহ।

বউ ; তাহলে কি আমাকে আপনার পছন্দ হয়নি। আমি দেখতে অসুন্দর বলে।

আমি ; নাহ সেটাও না।

বউ ; তাহলে কেনো?

আমি ; অসব আপনাকে বুঝতে হবে না। আপনি কাপড় পালঠে বিছানায় শুয়ে পড়ুন। আমি নিচে শুচ্ছি।

বউ ; না না, একি বলছেন আপনার ঘর আপনি নিচে শুবেন। তার চেয়ে বরং আমি নিচে শুই আপনি উপরে বিছানায় শুয়ে পড়ুন। (কান্না আঠকে বলল, তবে কন্ঠে কান্না কান্না ভাব স্পষ্ট)

আমি ; না না, এটা কি বলছেন আপনি। আপনি নতুন বউ হয়ে নিচে শুবেন।

বউ ; তাহলে আপনিও আমার সাথে বিছানায় শুবেন চলুন। না হয় আমি নিচেই শুবো।

আমি ; আচ্ছা শুবনে। আমি কাপড় পালঠে শুয়ে পড়লাম।

কিছুক্ষণ পর বউ কাপড় পালঠে এসে আমার পিছন দিকে শুয়ে পড়লো। বউ আমার কালো শাড়ি পড়েছে একদম পরীর মতো লাগছে। মনে মনে এমন ভাব যে এই জরিয়ে ধরি বউকে। কিন্তু জরিয়ে ধরলেতো প্লান নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ইচ্ছেকে মাঠি চাপা দিলাম।

বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক। মাঝে মাঝে বিকট শব্দ হচ্ছে। বউ ভয়ে কাপছে। মনে হয় ভয় পাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর আবার খুব জুরে একটা বিকট শব্দ হলো। বউ ভয় পেয়ে আমাকে জরিয়ে ধরলো। আহ কি অনুভুতি। সে আপনারা বুঝবেন না।

আমি ; কি হলো ভয় পেয়েছেন।

বউ ; হুম (কাপা কাপা কন্ঠে বলল)

বুঝলাম খুব ভয় পেয়েছে।

আমি ; আচ্ছা জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ুন ভয় পাবেন না।

বউ আমাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। তারপর দিলাম এক ঘুম।

এতোক্ষণ গল্প করলাম আমার বায়োডাটাইতো দিলাম না।

আমি আদি। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবার অফিস দেখা শুনা করি। আর যিনি আমার পাশে শুয়ে আছেন। অর্থাৎ আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছেন। তিনি আমার বউ। আজই বিয়ে করলাম। বাবা মায়ের পছন্দ মতো। বউয়ের নাম তন্নি। দেখতে একদম পরীর মতো।

গাল দুটো গুলুগুলু। দেখলেই মন চায় ঠেনে দিই। রঙ ফর্সা। আমার খুব ইচ্ছে করে জরিয়ে ধরে অর গালে একটা ইয়ে দেই।

সকালে ঘুম ভাঙলো চেয়ে দেখি পাশে তন্নি নেই। কিছুক্ষণ পর রুম এসে ডুকলো মনে হয় গোসল করেছে। চুল গুলো ভেজা। নতুন একটা শাড়ি পড়েছে। ওয়াও কি লাগছে আমি বলে বুঝাতে পারব না।

আমিতো হা হয়ে গেলাম। তন্নি আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরি। মানুষ এতো সুন্দর হয়। ওর ঠোট দুটো বাচ্চাদের মতো গোলাপি রঙের। ওর ঠোঁটে একটা ইয়ে দিতে ইচ্ছে করছে।

তন্নি আমার দিকেই আসছে। আমি তারাতারি চোখ বুজে নিলাম।

তন্নি ; এই যে শুনছেন।

আমি ;……………

তন্নি ; এই যে, অনেক সকাল হয়েছে ঘুম থেকে উঠুন।

আমি চোখ খুললাম। দেখলাম তন্নি আমাকে ডাকার জন্য আমার একেবারে কাছে এসে গেছে। ওর চুলগুলো আমার মুখে পড়ছে। আহ কি ঘ্রান।

তন্নি আবার ডাক দিলো

তন্নি ; এই যে

আমি ; হুম

তন্নি ; অনেক সকাল হয়েছে আম্মু বলেছে এখন ঘুম থেকে উঠতে।

আমি ; হুম উঠছি।

তারপর উঠে ফ্রেস হয়ে চা – নাস্তা করলাম। শশুর বাড়ি লোকজন আসলো সবাইকে আপ্যায়ন করলাম। এভাবে দুই দিন কেটে গেলো।

আমি তন্নিকে এখনো স্বামীর অধিকার দেই নি। এখন আমি বিছানায় চোখ বুঝে শুয়ে আছি। তন্নি হয়তো বুঝছে আমি ঘুমে। তন্নি আমার অন্য পাশে শুয়ে আছে মেয়েটা ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে ।

কিছুক্ষণ পর কারো গরম নিশ্বাস আমার মুখে অনুভব করলাম। তন্নি আমার কপালে একটা পাপ্পি দিয়ে উঠে চলে গেলো। মনে হয় ছাদে গেছে। মন খারাপ তাই।

আমি চুখ খুললাম। দেখলাম পাশে একটা ডায়রি পড়ে আছে। আমি ডাইরিটা হাতে নিলাম। এটা তন্নির ডাইরি। ডাইরিটা খুললাম প্রথম কয়েক পাতায় কিছুই লেখা নেই। মাঝখান থেকে লেখা শুরু করেছে।

১ম পৃষ্টা ;

কবে খুজে পাবো আমার ভালোবাসার মানুষকে। যে আমাকে খুব ভালোবাসবে।

২য় পৃষ্টা ;

আমি শুধু তাকেই ভালোবাসবো। যার সাথে আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবো। অর্থাৎ আমার স্বামীকে।

৩য় পৃষ্টা ;

আমি এখন অনেক বড়ো হয়ে গেছি। অনেকে আমাকে প্রপোজ করেছে। সবার প্রপোজাল আমি রিজেক্ট করেছি। কারন আমি আমার পুষে রাখা ভালোবাসা শুধু আমার স্বামীকে দিবো।

৪র্থ পৃষ্টা ;

আজ আমাকে পাত্র পক্ষ দেখতে এসেছিলো। পাত্র খুবই কিউট। দেখতে একদম বাচ্চা বাচ্চা টাইপ। তারা আমাকে পছন্দ করেছে। বিয়ের দিন – তারিখ ঠিক করে গেছে।

৫ম পৃষ্টা ;

আজ আমার গায়ে হলুদ। বাড়িতে অনেক লোকজন। সবাই খুব আনন্দ করছে। আমার খুব কান্না পাচ্চে কারন কাল আমার চিরোচেনা মানুষদের ছেড়ে চলে যেতে হবে।

৬ষ্ট পৃষ্টা ;

আজ আমার বিয়ে হয়ে গেলো। এখন আমি বাসর ঘরে বসে আছি। আমি একটু আগে খুব কান্না করেছি। খুব ভয় করছে। কিছুক্ষণ পর দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেলাম মনে হয় বর সাহেব এসে গেছেন।

৭ম পৃষ্টা ;

বর ঘরে প্রবেশ করলো। তারপর বর যা বলল নিমিষেই আমার এতোদিনের পুষে রাখা ভালোবাসা শেষ হয়ে গেলো। স্বামী আমাকে তার স্ত্রীর অধিকার দিবেন না। আজ থেকে ডাইরি লেখার সমাপ্তি।

ডাইরি পড়ে আমার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। যে আমাকে এতো ভালোবাসে আমি তাকে এতো কষ্ট দিলাম।

আমি আস্তে আস্তে ছাদে গেলাম। ছাদে গিয়ে দেখলাম তন্নি ছাদের রেলিংয়ে দু -হাত রেখে ব্যাস্ত শহর দেখছে। মনে হয় কাঁদছে আমি গিয়ে তন্নির কোমড়ে হাত দিয়ে ঠান মেড়ে আমার বুকে নিয়ে এলাম।

তন্নি ভয় পেয়ে গেলো আর বলল

তন্নি ; কে? (কাপা কাপা কন্ঠে)

তন্নি আমার দিকে থাকিয়ে যখন দেখলো আমি তখন অবাক হয়ে বলল

তন্নি ; আপনি!!

আমি ; কেনো অন্য কেউ আসার কথা নাকি? (আমি আমার মুখ তন্নির কেশে ডুবিয়ে দিলাম)

তন্নি ; না মানে আপনি আমাকে জরিয়ে ধরেছেন!!

আমি ; কেনো আমার বউকে আমি জরিয়ে ধরতে পারব না নাকি?

তন্নি ; না তা না, আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না।

আমি ; কে বলেছে ভালোবাসি না।

তন্নি ; কেনো আপনিই তো বললেন।

আমি ; সরি।

তন্নি ; কেনো।

আমি ; আসলে আমি তোমার সাথে দুষ্টুমি করেছি এই দুই দিন।

তন্নি কাঁদতে কাদতে আমাকে জরিয়ে ধরলো।

তন্নি ; জানেন, এই দু দিন আমার কি কষ্ট হয়েছে।

আমি ; এখন থেকে আর কষ্ট দিবো না। আর তুমি আমাকে আপনি করে বলছো কেনো? তুমি করে বলবে ওকে।

তন্নি ; আচ্ছা। আর কষ্ট দিবে নাতো।

আমি ; না, তবে আমার একটা ইচ্ছা আছে।

তন্নি ; কি?

আমি ; তোমার ঐ গুলুগুলু গাল দুটো একটু টেনে দিবো।

তন্নি ; কেউ কি মানা করেছে নাকি। (লজ্জা কন্ঠে)

আমি তন্নির গাল দুটো টেনে দিলাম

তন্নি ; আউউ

আমি ; কি হলো।

তন্নি ; এতো জোরে কেউ ঠানে নাকি

আমি ; তোমার (আর কিছু বলার আগে ঠোঁটে স্বর্গ স্পর্স পেলাম। বাকিটা ইতিহাস

গল্পঃ ভালবাসার গল্পকথক

লেখকঃ এনজে নাজমুল

সংগ্রহঃ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

বউ এর সাথে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ৩

বিয়ে করেছি কয়েকমাস আগে। বেশ ভালোই তালগোলে সংসারের খেলা চলছে। রমজান মাস কাটাচ্ছি একসাথে আল্লাহর রহমতে। অনেকগুলো রোজাও পার হয়ে গেছে। কিন্তু এবার শুরু হবে বউয়ের আসল খেলা যে ভয়ে আমি এতদিন ছিলাম। কারণ এবার তার ঈদের শপিং করার পালা।

এখন পর্যন্ত বউ শপিং নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করেনি কানের কাছে। তবে আমার নিজের মা খুব উঠে পড়ে লেগেছে আমাকে ফকির করার জন্য। বারবার বলছে বউমাকে নিয়ে শপিং এ যা। আমিও এই সেই বাহানা দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছি।

না, আমার টাকাপয়সার অভাব নাই। কিন্তু আমার পূর্বপুরুষ আর বন্ধুমহলে তাদের বউয়ের শপিং এর ইতিহাস নিয়ে যা গল্প শুনেছি তাতে আমার বউ শপিং এর জন্য যে আমাকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলাবে না তার কোনো ভরসা নাই।

আমিও একটু কিপটা মানুষ আছি। ঠিকই পারতাম সারাজীবন একা থাকতে কিন্তু বাড়ির লোক ধরে বেঁধে বিয়েটা দিয়েই দিল। বিয়ের দিনে একবার ভাবলাম পালিয়ে যাবো নাকি।

কিন্তু আমার খাটাশ বন্ধুগুলো আমাকে পালাতে দিল না। তারা বলল, ” আমরা যে অশান্তি সহ্য করে চলছি তোকেও চলতে হবে। “
অতঃপর বিয়েটা করেই ফেললাম।

রাতে শুয়ে শুয়ে টিভিতে খবর দেখছিলাম। বউকে জিজ্ঞেস করলাম,

– কবে শপিং করতে যাবা?
– আপনি যেদিন ফ্রি থাকবেন।

ঠোঁটে মুচকি হাসি লাগিয়ে রেখে মনে মনে ভাবলাম, “এখন তো ভালো মানুষ সাজবাই। মুখের কত সুন্দর মিষ্টি বুলি। আহা ! এসব আমার টাকা ফুরানোর ধান্দা। আমি কি কিছু বুঝিনা। “

তারপরে বললাম,
– চলো, কাল অফিস ছুটি আছে। কাল যাবো।
– আচ্ছা ঠিক আছে।
টাকা তো এমনিও ফুরাবেই। যা হবার আগেই হোক।

পরের দিন সন্ধ্যায় ইফতার করে ভয়ে ভয়ে শপিংয়ের উদ্দেশ্যে বের হলাম। বউয়ের দেখছি তেমন কোন বায়নাই নাই।

সে আমার মায়ের জন্য একটা সুন্দর শাড়ি কিনলো। মন মানসিকতা বেশ ভালোই আছে দেখছি। শাশুড়ির জন্যও সেম একটা অন্য রঙের শাড়ি কিনে দিলাম।

তারপরে সে আমাকে এখানকার বেশ জনপ্রিয় শপ ফড়িং এ নিয়ে গেল। সেখানকার জিনিসপত্রের দামেও ফড়িং এর মতো পাখা। কত টাকা যে ফুরাবে এবার আল্লাহ্ই ভালো জানে। মনে মনে দোয়া করছি, ” আল্লাহ্ বাঁচাও। “

আমাকে অবাক করে সে আমার বোনের জন্য একটা থ্রিপিস নিলো। নিজের জন্য কিছুই নিলো না। এবার ওয়ে টু নিউমার্কেট। নিউমার্কেটে জিনিসপত্রের যা চওড়া দাম। রিচম্যানের শোরুমের সামনে নামলাম।

আমি বারবার এসে রিচম্যানের দরজা দিয়ে ঘুরে যাই টাকা বেশি ফুরাবো না বলে। কষ্ট হয় মনে। হোক। আমি রাস্তা পার হয়ে ব্যাক করার সময় ইজি থেকে শপিং করা লোক। কারণ সেখানে প্রাইস রিজনেবল।

বউয়ের আমাকে আজ রিচম্যানে আনার উদ্দেশ্য বুঝলাম না। জিজ্ঞেস করলাম,
– এখানে কেন আমরা?
সে কোন উত্তর দিচ্ছে না। ঘুরে ঘুরে একটা পাঞ্জাবী এনে আমার গায়ে ধরে বলল,
– এটা আপনাকে দারুণ মানাচ্ছে।

আসলেই বউয়ের চয়েস ভালো। পাঞ্জাবীটা সুন্দর। পাঞ্জবীটা হাতে নিয়ে প্রাইস ট্যাগ দেখে আমার হার্ট অ্যাটাক করার উপক্রম হলো। ভাববেন না ইফতারে বেশি খেয়ে ফেলেছি বলে হার্ট অ্যাটাক হতে যাচ্ছে।

পাঞ্জাবীর দাম চার হাজার দুইশত নিরানব্বই টাকা। আমি তো আমার বিয়ের পাঞ্জাবীও কম দামে কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার দুলাভাই জোর করে ভালো পাঞ্জবী কিনাইছিল।

মুখটা কাচুমাচু করে বউকে বললাম,
– এই পাঞ্জবীটা একটু কেমন যেন না? আমাকে
কি মানাবে?
– এটা আপনার জন্য গিফট।

ওহ, বলতে ভুলে গেছি। আমার শ্বশুরমশাই আমাকে ঈদের শপিং এর জন্য দশ হাজার টাকা উপহার দিয়ে গেছে। যদিও নিতে চাই নি। এসব লোভ আমার নাই। তারপরেও বিয়ের পরে প্রথম ঈদ বলে জোরপূর্বক দিয়ে গেছে।

সেই টাকা থেকেই তাদের মেয়ে এখন আমাকে পাঞ্জাবীটা কিনে দিচ্ছে। দিক, আমার কি ! আমার টাকা তো না। খুশিতে বললাম,
– আচ্ছা নাও। এটাই সুন্দর।
বউ আবারো মুচকি হাসলো। হাসির রহস্য সামনে আসিতেছে বৎস।

আমার পছন্দে একটা শার্ট কিনলাম ইজি থেকে। বাড়ির সবার কেনাকাটা শেষ। বউ এখনো নিজের জন্য কিছুই কিনে নি। কিনতে শুরু করলে অনেক সময় চলে যাবে। তাই ফর্মালিটি করে বললাম,
– তোমার জিনিসপত্র কখন কিনবা?
– আমার তেমন কিছুই লাগবে না।

মনটা খুশিতে নেচে উঠলো। তারপরেও কিছু কিনে দিতে হবে নাহলে বাড়ি গেলে আমাকে জন্মদানকারী বাবা মাও আমার শত্রু হয়ে যাবে। তাই বললাম,
– চলো তোমাকে একটা শাড়ি কিনে দিই।
আমার খুব ইচ্ছা তোমাকে একটা নীল শাড়ি
কিনে দেওয়ার।
– আচ্ছা চলেন।

সে শাড়ির দোকানে গিয়ে বলল,
– আপনার যেটা ইচ্ছা হয় সেটা কিনে দেন।
বাহ্! এত ভালো বউ আমার। আমি দেখি খুবই লাকি। শেষে কিনা আমার বন্ধুর বউগুলোই জল্লাদ হলো। মরুক শালারা !

পছন্দ করে একটা নীল শাড়ি কিনে দিলাম। প্রাইসটা গোপনই থাক। আর অ্যাপেক্স থেকে একজোড়া জুতা। শাড়ি পরে তো বউয়ের খালি পায়ে হাটা মানাবে না। যদিও পায়ে আলতা পরে নূপুর পরলে নাকি মেয়েদের দারুণ লাগে বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকেরা বলে গেছেন।

শপিং শেষ করে বাড়ি এসে শান্তির ঘুম দিয়েছি। অনেক টাকা সেভ করেছে আমার বউ। এভাবে চলতে থাকলে সুইস ব্যাংকে আমার একটা অ্যাকাউন্ট থাকবে ভবিষ্যতে। যদিও বাড়ি এসে আমার মা আমার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়েছিলেন। আমি না দেখার ভান করেছি।

বেশ সুখে দিন কাটছে। একের পর এক রোজা চলে গেল। আজ ত্রিশ তম রোজা সম্পন্ন হলো অর্থাৎ চাঁদরাত। ইফতারে একগাদা খাবার খেয়ে পেটটাকে ঢোল বানিয়ে ফেলেছি।

পাঁচ মিনিটের জন্য ছাঁদে গেলাম হাটতে। এসে দেখি আমার বউ সেজেগুজে রেডি হয়ে বসে আছে। আমাকে আসতে দেখে হাতে একটা টি-শার্ট ধরিয়ে দিয়ে বলল,

– ধরুন, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেন।
– এই ভর সন্ধ্যায় আমরা কোথায় যাচ্ছি?
– চলেন একটু বাইরে বাতাস খেয়ে আসি।
– ছাদে তো অনেক বাতাস।
– আপনি কি যাবেন?
– আচ্ছা চলো নদীর পাড়ে যাই।

বউ সচরাচর কোনো আবদার করে না। আর এত লক্ষি বউ পেয়েছি তাই আজ না করতে পারলাম না। রেডি হচ্ছিলাম দেখলাম সে আলমারী খুলে কি যেন বের করলো। গুরুত্ব দিলাম না। ওর কোন সাজগোজের জিনিস হতে পারে।

বাড়ি থেকে বের হয়ে রিকশা নিলাম পদ্মার পাড়ে যাবো বলে। জিরো পয়েন্টে এসে বউ রিকশাওয়ালাকে বলল,

– মামা কুমারপাড়া চলেন।
– মানে কি? আমরা না নদীর পাড়ে যাচ্ছিলাম?
– হ্যা ঐদিক দিয়েও ঘুরে যাওয়া যায়।
রিকশাওয়ালা বলল,
– মামা ঠিকঠাক বলেন কোনদিক যাবেন?
রাস্তায় তর্কাতর্কিতে না জড়িয়ে মামাকে বললাম,
– চলেন কুমারপাড়া হয়ে।

বউ রিকশা সাইডে দাঁড়াতে বলল। আমি শুধু ওর কান্ড দেখছি। সামান্য দূরে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। রাতে তো টিসিবির পন্য দেয় না।

এত মানুষ এখানে কি করছে বুঝি না। একটু সামনে যেতেই মনে হলো আমার কাছে আজরাইল চলে এসেছে। হায় আল্লাহ্, আমি তো ভুলেই গেছিলাম কয়েকদিন আগে আড়ং এর শোরুম দিয়েছে রাজশাহীতে।

এতো বড় ভুল আমি কিভাবে করতে পারলাম। ছিঃ! বউ আমাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে বলল,
– আপনি বাতাস খান। আমি দশ পনেরো
মিনিটে আসছি।

দুই ঘন্টা হলো আমি বাতাস খাচ্ছি আর টাকা জলাঞ্জলির টেনশনে আমার শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে। বারবার উকি দিচ্ছি।

এখানে আমি না আমার মতো অসংখ্য নিরীহ প্রাণী বাতাস খাচ্ছে। কেউ একা বাতাস খাচ্ছে, কেউ বাচ্চা কোলে নিয়ে বাতাস খাচ্ছে, কেউ বা শপিং ব্যাগ হাতে আরো ব্যাগ আসার অপেক্ষায় বাতাস খাচ্ছে।

বসে থাকতে থাকতে আমার বন্ধু রাফির সাথে দেখা। রাফি উৎফুল্ল হাসিতে বলল,
– কিরে মাম্মা কখন আসছিস?
– এইতো কিছুক্ষণ। তুই এখানে?
– আর কইস না। দুই ঘন্টা আগে আসছি।
আমার বউয়ের রাত বারোটাও বাজতে পারে সেই ভেবে নদীর ধারে একটু বাতাস খেয়ে আসলাম।

এখনো দেখি ডাইনি মহিলার শপিং শেষ হয় নি। কাল সকালে ঈদের জামাত মিস করাবে নাকি আল্লাহই জানে। থাম একটু ভেতরে চেক করে আসি।

এই ফাঁকে আমার বউ বাইরে এসে বলল,
– একটু ভেতরে আসবেন?
বুঝলাম সে আমাকে ব্যাগ ধরার জন্য ডাকতেছে। গুনে গুনে বারোটা ব্যাগ। দুইহাতে শক্তিমানের মতো ব্যাগগুলো তুলে রিকশা নিলাম।

রিকশাতে খানিকটা রাস্তা এসে বউ বলল,
– নদীর পাড়ে যাবেন?
অসম্মতিসূচক এঙ্গেলে মাথা নাড়িয়ে জানালাম,
– না।
বিড়বিড় করে বললাম, “অনেক নদী দেখাইলা আজ, এ জন্মে তো আর না।”

বাড়ি ফিরে সে ওয়াশরুমে গেছে। আমি দ্রুত আলমারীটা খুলে চেক করলাম। গতকাল বেতন তুলেছি সেগুলো অক্ষত আছে কি না।

আলহামদুলিল্লাহ বেতন জায়গামতোই আছে। তাহলে এই মেয়ে এত টাকা পেল কোথায়?

সহসা মাথায় অন্য কিছু খেলে গেল। ড্রয়ার চেক করে দেখলাম আমার ক্রেডিট কার্ড নাই। তারপরে পুরোনো একটা ইতিহাস মনে পড়ে গেল।

বিয়ের প্রথমদিকে খুব আনন্দঘন মুহুূর্তে একদিন বউকে বলেছিলাম, “তোমার কোনকিছু দরকার হলে কার্ড ইউজ করো। “
নিজের কবর নিজেই খুুঁড়েছিলাম সে জাস্ট আজ মাটি চাপা দিয়েছে, আর কিছু না।

ফ্রেশ হয়ে এসে বউ তার পার্স থেকে কার্ড বের করে আমাকে দিল। হাতে নিয়ে কার্ড জানালা দিয়ে ফেলে দিবো নাকি তাই ভাবলাম। কারণ ভেতর তো ফাঁকা। লাইট অফ করে একটু শুয়েছি।

বউ লাইট অন করে বলল,
– একটু উঠেন তো।
উঠলাম। সে তার মহামূল্যবান শপিং ব্যাগগুলো তুলে খাটের ওপর রাখলো। একটা একটা করে জিনিস বের করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। আমি পাশ থেকে আড়চোখে দাম দেখার চেষ্টা করছি।

আল্লাহ মাবুদ, ছোট ছোট জিনিস এত্ত দাম দিয়ে কিনছে পাগলি মেয়েটা। সরি, শেয়ানা মেয়ে।
একে তো খুব টায়ার্ড হয়ে আছি তারপরে ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে মহারানীর জিনিসপত্র গুছাতে রাত পার হয়ে যাবে।

না ঘুমালে কাল সত্যিই ঈদ জামাত মিস। সোফায় শুয়ে পড়লাম। চোখ বন্ধ করেছি জাস্ট, বউ কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলল,
– আপনার মতো কিপটা লোককে সোজা করার
কৌশল আমার ভালোই জানা আছে। আপনি
নাচবেন তো ঠিকই কিন্তু শুধু আমার ইশারায়।

আফসোস, আমার আর সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট হলো না।

(সমাপ্তি)

গল্প: বউয়ের শপিং
লেখক: নূর-এ সাবা জান্নাতস

সংগ্রহ: রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

যুগের পাতা

যুগের পাতা একটি জ্ঞানভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে ইসলাম, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, খেলাধুলা, বিশ্বতথ্য ও বিজ্ঞান নিয়ে সাম্প্রতিক ও প্রাসঙ্গিক আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। আমরা চেষ্টা করি, আপনাদেরকে সঠিক ও প্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে সবসময় আপডেট রাখতে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।