পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখি কোনটি?
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখির নাম কি?
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট্ট পাখি: মৌমাছি হামিংবার্ড।
কল্পনা করুন পৃথিবীতে এমন একটা পাখি আছে যে পাখি মৌমাছির মতো ছোট্ট! হ্যাঁ, এটা সত্যি! তার নাম মৌমাছি হামিংবার্ড।
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পাখির নাম কি
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পাখির নাম সিঁদুরে ফুলঝুরি। এরা লম্বায় মাত্র সাড়ে ৮ থেকে ৯ সেন্টিমিটার হয়। আরও বিস্তারিত এখানে।
মৌমাছি হামিংবার্ড পাখি কতটা ছোট?
মৌমাছি হামিংবার্ড এর দৈর্ঘ্য মাত্র ৫ সেন্টিমিটার, যার মানে আপনারর হাতের তালুর মধ্যেও এটি পুরোপুরি বসে যাবে! এর ওজন মাত্র ১.৮ গ্রাম, যা একটি ২ টাকার কয়েনের চেয়েও হালকা! এর ডিম একটি টিকটিকির ডিমের মতো ছোট্ট।
মৌমাছি হামিংবার্ড কোথায় থাকে?
মৌমাছি হামিংবার্ড কিউবার উপকূলীয় বনভূমিতে বাস করে। এটি ঘন গাছপালাযুক্ত এলাকা পছন্দ করে।
মৌমাছি হামিংবার্ড পাখি কি খায়?
এটি দীর্ঘ ও সরু ঠোঁট দিয়ে ফুলের মধু খায়। এটি দ্রুত ডানা ঝাপটানোর মাধ্যমে ফুলের সামনে স্থির থাকে এবং মধু সংগ্রহ করে। মৌমাছি হামিংবার্ড প্রতিদিন তার দেহের ওজনের চেয়ে দ্বিগুণ মধু খায়।
এই পাখি কিভাবে উড়ে?
এটি দ্রুত ডানা ঝাপটায় উড়ে। এর ডানা প্রতি সেকেন্ডে ৮০ বার ঝাপটায়! এটি স্থির থাকার সময় ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে।
মৌমাছি হামিংবার্ডের কিছু আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য:
- এর পালকের রঙ সবুজ, লাল ও সাদা।
- এর ঠোঁট লম্বা ও পাতলা।
- এর চোখ বড় ও কালো।
- এর পা ছোট্ট ও দুর্বল।
- এটি ঝুলন্ত অবস্থায় ঘুমায়।
- এটি পোকামাকড়ও খায়।
- এটি খুব দ্রুত ছুটে বেড়াতে পারে।
- এটি লড়াই করতেও ভয় পায় না।
এই পৃথিবীতে এমন অনেক পাখি আছে যাদের সম্পর্কে আমরা এখনও জানি না। পাখিরা দেখতে যেমন সুন্দর তেমন এদের রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। এমনই একটি ছোট এবং খুব সুন্দর পাখি ‘বি হামিং বার্ড’।
এটি হচ্ছে পৃথিবীর পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট পাখি। লম্বা ফুল থেকে মধু খাওয়ার জন্য লম্বা ঠোঁটের সঙ্গে লম্বা জিহ্বা রয়েছে অনেকটা মৌমাছির মতো। এই পাখিগুলো এতই ছোট যে এগুলোকে দেখলে মৌমাছি ভেবে ভুল হতে পারে।
আর ভুল হওয়ার কারণ নিশ্চয় রয়েছে এখানে! ওদের দৈর্ঘ্য শুনলে অবাক হতে হয়। সর্বসাকল্যে ওদের দৈর্ঘ্য ৫ সেন্টিমিটার। এ পাখিটিকে স্কেল দিয়ে মেপে দেখলে মনে হয় অবিশ্বাস্য। ওদের ওজন হয় মাত্র ১.৫ গ্রাম থেকে ২ গ্রাম।
আকৃতিতে ছোট হলেও পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ প্রজাতির হামিংবার্ড রয়েছে। দেহে থাকে প্রায় ৯০০ পালক। এদের চলার গতি ঘন্টায় প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। মধুপায়ী হলেও এরা ফুলের ভেতরের ছোট ছোট পোকাও খেয়ে থাকে।
ওড়ার সময় এদের পাখা থেকে গুনগুন শব্দ হয়। গুনগুন করাকে ইংরেজিতে হামিং বলে। আর এ কারণেই এর নাম দেওয়া হয়েছে হামিংবার্ড।
হামিংবার্ড হাঁটতে পারে না। তবে এরাই একমাত্র পাখি যারা সামনে, পেছনে, ওপরে ও নিচে সবদিকেই পূর্ণগতিতে চলাচল করতে পারে। এদের কেবল আমেরিকার ট্রপিক্যাল অঞ্চলে পাওয়া যায়।
এরা মিনিটে ২৫০ বার শ্বাস নেয় এবং ওড়ার সময় তা আরও বেড়ে যায়। আর এদের হৃদস্পন্দনের হার মিনিটে ১২০০ বিট। এরা সেকেন্ডে ৭০ বারের মতো ডানা ঝাপটাতে সক্ষম।
শেষ কথাঃ মৌমাছি হামিংবার্ড প্রকৃতির এক অদ্ভুত সৃষ্টি। এই ছোট্ট পাখি আমাদের জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের উচিত এই পাখি এবং এর বাসস্থান রক্ষা করা। আশা করি এই বিস্তারিত ব্যাখ্যা আপনার ভালো লেগেছে।