তিমি সম্পর্কে অজানা তথ্য
তিমি সম্পর্কে আমরা অনেকেই কিছুটা জানি। কিন্তু এই বিশাল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জীবন এবং তাদের সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানা আছে যা হয়তো আপনার জানা নেই। চলুন তাহলে তিমি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেওয়া যাক:
তিমি আসলেই মাছ নয়
অনেকেই তিমিকে মাছ ভাবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিমি স্তন্যপায়ী প্রাণী। তারা ডিম পাড়ে না, বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায় এবং ফুসফুস দিয়ে শ্বাস নেয়।
নীল তিমিই সবচেয়ে বড়
নীল তিমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী। এর জিভের ওজনই একটা হাতির ওজনের সমান!
তিমি বাচে প্রায় ১০০ বছর
তিমির আয়ুষ্কাল প্রজাতিভেদে আলাদা আলাদা হতে পারে। সাধারণত, তিমি অনেক দীর্ঘ জীবনযাপন করে। কিছু প্রজাতির তিমি ৮০-৯০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি ১০০ বছরের বেশি বয়সী তিমির কথাও শোনা যায়।
তিমি মানুষ খায় না
অনেকে মনে করেন, তিমি মানুষ খায়। কিন্তু এই ধারণা ভুল। তিমি প্রধানত ছোট ছোট জলজ প্রাণী যেমন ক্রিল, ছোট মাছ এবং স্কুইড খায়। মানুষ তাদের খাবারের তালিকায় নেই।
সাধারণত তিমিরা মানুষকে আক্রমণ করেনা। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভুল করে বা আতংকিত হয়ে আক্রমণ করতে পারে। তবুও এই আক্রমণের ফলে মানুষ খাওয়া হয় না, কারণ তিমির কোনো প্রজাতির পক্ষে একজন মানুষকে খাওয়া সত্যিই অসম্ভব।
তিমির গান
কিছু প্রজাতির তিমি খুবই জটিল এবং সুন্দর গান করে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই গানের মাধ্যমে তারা যোগাযোগ করে।
তিমির দাঁত নেই
তিমির দাঁত নেই। তার বদলে তাদের মুখে ব্যালিন নামক এক ধরনের প্লেট থাকে। এই প্লেটের সাহায্যে তারা পানি থেকে খাবার ছানিয়ে নেয়।
তিমি দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করে
তিমি প্রায়ই হাজার হাজার মাইল দূরত্ব ভ্রমণ করে। তারা খাবারের সন্ধানে বা প্রজননের জন্য এত দূর যায়।
তিমি খুব বেশি খায়
তিমি দিনে হাজার হাজার কিলোগ্রাম খাবার খেতে পারে। তারা সাধারণত ক্রিল নামক ছোট ছোট প্রাণী খায়।
তিমি খুব বেশি সময় ঘুমায় না
তিমি খুব বেশি সময় ঘুমায় না। তারা একসঙ্গে মস্তিষ্কের অর্ধেক অংশই ঘুমায়। এভাবে তারা শ্বাস নিতে ভুলে যায় না।
তিমিদের জীবনধারা সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু অজানা। বিজ্ঞানীরা এখনও তিমিদের জীবনধারা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চান। তারা কীভাবে যোগাযোগ করে, কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, এসব বিষয়ে গবেষণা চলছে।
আশা করছি তিমি সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। তিমি সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন।