সুস্থ থাকার কার্যকর উপায়
আমরা সবাই সুস্থ থাকতে চাই। সুস্থ দেহেই সুস্থ মন। তাই আসুন জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে সুস্থ থাকার চেষ্টা করি।
সুস্থ থাকার উপায় বিস্তারিত
নিচে সুস্থ থাকার বেশ কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এগুলো আপনার সুস্থতার জন্য সহায়ক হবে।
সুস্থ থাকতে প্রয়োজন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার
বিভিন্ন ধরনের খাবার: শুধু এক ধরনের খাবার খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়া যায় না। তাই দিনে দিনে খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনুন। শাকসবজি, ফল, দানাশস্য, মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি সব কিছুই সঠিক পরিমাণে খান।
ফাইবারযুক্ত খাবার: ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। পুরোধান, বাদাম, বীজ, ফল এবং শাকসবজি ফাইবারের ভালো উৎস।
পানি: শরীরের প্রায় ৬০% পানি। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে পানি খুবই জরুরি।
স্বাস্থ্যকর চর্বি: অলিভ অয়েল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর চর্বির ভালো উৎস। এগুলি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন
এরোবিক ব্যায়াম: হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার ইত্যাদি এরোবিক ব্যায়ামের মধ্যে পড়ে। এগুলো হৃদপিণ্ড স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম: ওজন তোলা, পুশ-আপ, সিট-আপ ইত্যাদি শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম। এগুলো পেশি গঠনে সাহায্য করে।
যোগাসান: যোগাসান শরীরের নমনীয়তা বাড়াতে, মানসিক চাপ কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থতার সহায়ক
৭-৮ ঘন্টা ঘুম: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৭-৮ ঘন্টা ঘুম খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর এবং মন দুই-ই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
ঘুমের পরিবেশ: ঘুমের আগে মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। অন্ধকার, শান্ত এবং ঠান্ডা পরিবেশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখুন
ধ্যান: ধ্যান মানসিক চাপ কমাতে, মনকে শান্ত রাখতে এবং একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকা: প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে যায় এবং সৃজনশীলতা বাড়ে।
হাসি: হাসি স্ট্রেস হরমোন কমাতে এবং শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে, যা মনকে প্রফুল্ল করে।
সামাজিক যোগাযোগ: পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি।
সুস্থ থাকার অন্যান্য উপায়
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান এবং মদ্যপান অনেক রোগের কারণ।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের খবর রাখুন।
ত্বকের যত্ন: ত্বককে পরিষ্কার রাখুন এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করুন।
দাঁতের যত্ন: দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করুন এবং নিয়মিত দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন, সুস্থ থাকার জন্য ধৈর্য এবং নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা দরকার। ছোট ছোট পরিবর্তন আনতে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা গড়ে তুলুন।
আপনার কোনো বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।